কুড়িগ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে ২০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৩

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানী পাড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি উপচে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছেন।

বাঁধ উপচে লোকালয়ে জমা বৃষ্টির পানির সঙ্গে যোগ হয়ে প্লাবিত হচ্ছে বামনডাঙ্গার তেলিয়ানী, মালিয়ানী, বড়মানি, ধনিটারী, অন্তাইপাড়, সেনপাড়া, পাটেশ্বরী, বোয়ালেরডারা, পৌরসভার পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটাসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে এসব এলাকায় ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি পুকুর। প্লাবিত হচ্ছে ঘরবাড়ি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবেদ আলী বলেন, বুধবার বিকেল থেকে তেলিয়ানীতে আমার বাড়ির পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে দুধকুমারের পানি লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। পানির তীব্রতা বাড়লে বাঁধের দুটি অংশে ২০০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে যায়।


তেলিয়ানীপাড়া গ্রামের কৃষক মো. নুর ইসলাম বলেন, হঠাৎ বাঁধটি উপচে যাওয়ায় নতুন পানি ঢুকতে শুরু করছে। আমার এক বিঘা জমিতে পটল ক্ষেতের চরম ক্ষতি হবে। না পারবো পটল তুলতে না পারবো বেচতে। আমার সর্বনাশ হয়ে গেলো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মূলত নদীর স্থায়ী ভাঙনরোধে কাজ করছি। বামনডাঙা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি জায়গায় ভেঙেছে। বাকি অংশে পানি বাড়ার কারণে রাস্তা তলিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ জাগো নিউজকে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬৫০ টন চাল, নগদ অর্থ ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাড়তে ধাতে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি। বর্তমানে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ঘরে পানি ওঠায় অনেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। কেউ কেউ উপায় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে এবং নৌকার ভেতর রাত কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।