‘কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হিম বাতাস শরীরে কাঁটার মতো বিঁধে’

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় শীত, কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার প্রকোপে কাঁপছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কুয়াশা শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ঘন কুয়াশা আর সূর্যের অনুপস্থিতি জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল আরও কম, ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। কাটিয়া গ্রামের ভ্যানচালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঠান্ডা হাওয়ার কারণে ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় সামনে কিছু দেখা যায় না, হিম বাতাস শরীরে কাঁটার মতো বিঁধে।

তালা বাজারের চা বিক্রেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, ভোরে দোকান খুললেও তেমন বেচাকেনা নাই। মানুষ ঠান্ডায় বাইরে আসছে না। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে

দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে কাজের খোঁজে বের হয়েছি, কিন্তু কুয়াশায় পথ দেখা যায় না। কাজ না করলে সংসার চলবে না, তাই বের হতে হয়। শহর ও আশপাশের এলাকা সন্ধ্যার পর থেকেই ফাঁকা হয়ে যায়। শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ মশাল জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। যানবাহন চলাচলেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা।

হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। তাদের আহ্বান শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন বলেন, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।