কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণে সিদ্ধান্তে খুশি ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৫

সানজিদা মাহবুবা:

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমের অপসারণের সিদ্ধান্তে খুশি ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের পদত্যাগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করবেন তারা।

এদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের সিদ্ধান্তে প্রায় ২ মাস উত্তাল থাকার পর কুয়েট ক্যাম্পাস এখন পুরোপুরি শান্ত।

কুয়েট শিক্ষার্থী মোহন ও রাহাত বলেন, ভবিষ্যতে এই ২ পদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে তারা যেন শিক্ষার্থীবান্ধব হন। ক্যাম্পাসকে তারা যেন ছাত্র রাজনীতি মুক্ত রাখেন।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

এ দিকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অপসারিত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম। তিনি বলেন, ‘গত ৪ ডিসেম্বর যোগদানের পর থেকে উপাচার্য আমাকে কোনো প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা করেননি। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক উপ-উপাচার্যের সীমিত আকারে প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ করার যে নীতিমালা ছিল তা গত ১১ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বাতিল করা হয়। ফলশ্রুতিতে গত ৪ মাসে প্রশাসনিক কার্যাদি এবং আর্থিক বিলে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদটি একটি অলংকারিক পদে পরিণত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো আমি নিজে এখনও আমার অপরাধ সম্পর্কে জানি না এবং আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।’

এ দিকে গত বুধবার কুয়েট শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে চাপের মুখে উপাচার্যকে অপসারণ করা হলে তা মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। উপাচার্যকে অপসারণের সিদ্ধান্তের পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সভার আয়োজন করে শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, সভা শেষে তারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।