দেশ জুড়ে:
অবৈধভাবে চা পাঠানোর সময় পঞ্চগড়ের একটি পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৭৫ বস্তা চা জব্দ করেছে কাস্টমস। সোমবার গভীর রাতে জেলা শহরের রওশনাবাগ এলাকার এজেআর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চা জব্দ করা হয়।
৭৫ বস্তা চায়ের প্রতিটিতে ৫০ কেজি করে চা রয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই চা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রংপুর ও চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রিন স্কাই টি হাউজের ৮ বস্তা চা, নাফিজ জান্নাত টি হাউজ ২০ বস্তা, সাদিয়া টি হাউজ ১৫ বস্তা, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের ৩০ বস্তা ও ধানসিঁড়ি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ২ বস্তা চা রয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জেলার পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কালোবাজারে চা লেনদেন করে আসছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে জেলা শহরের রওশনাবাগ এলাকার এজেআর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসে অভিযান চালায় কাস্টমস। এ সময় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৭৫ বস্তা চায়ের কাগজে গড়মিল পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫৪ টি বস্তার গায়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো নাম ঠিকানাও ছিল না। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চা ওই পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ারে বুকিং করে। তবে অভিযানের সময় তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ৭৫ বস্তা চা আটক করে উত্তর বাংলা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টি ওয়্যার হাউজে পাঠায় কাস্টমস।
অভিযানে পঞ্চগড় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল হোসেন পাটোয়ারী, চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, বিধি অনুযায়ী জব্দ চায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।