কূটনীতিক হিসেবে কেমন ছিলেন সুফিউর রহমান?

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। তবে বিগত সরকারের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে দিয়ে সুফিউর রহমান যেন তার দায়িত্ব শুরু না করতে পারেন, সেই প্রচেষ্টা চলছে।

অথচ চার দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা সুফিউর রহমানকে নিয়ে ভিন্ন বার্তা দিচ্ছেন স্থানীয় কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, অবসরে যাওয়া এই কূটনীতিক বিদেশের মাটিতে শুরুতে দিল্লি এবং জেনেভায় কাজ করার পর ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত উৎকর্ষের জন্য পরবর্তী সময়ে তাকে নেপালে সার্ক সচিবালয়ে পদায়ন করা হয়। এরপর বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার তাকে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা অভিযোগে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়।

সার্ক সচিবালয়ে পরিচালক পদে থাকাকালীন সময়ে ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি সার্ক উন্নয়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগে সাফল্যের অবদান রাখেন। সার্ক কৃষি কেন্দ্র, সার্ক ফুড ব্যাংক, সার্ক আঞ্চলিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গঠনে সহায়ক ভূমিকা রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত রহমান ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সার্ক (মাঝে মাঝে দক্ষিণ এশিয়া) ও বহুপাক্ষিক অর্থনীতি বিষয়ক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সুফিউর রহমান সার্ক উইংয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার সার্কের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। তখন তিনি এ প্রচেষ্টাকে রুখে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।