কৃষককে হয়রানিতে কঠোর ব্যবস্থা, অভিযোগ জানানো যাবে ফোনে

প্রকাশিত: ৩:০২ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

চলতি মৌসুমে সরকারের বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে। দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশন দিয়েছেন মন্ত্রী। কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার কৃষকরা ফোনে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করা হয়। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওয়ের বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। যাতে কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়া জন্য।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করেন সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে ওই নম্বরে কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপোষ না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা।