রাজশাহী প্রতিনিধি:
সোমবার সন্ধ্যায় নামাজ শেষে ঘরে পড়ছিল নুসরাত। হঠাৎ পাশে থাকা দাদা-দাদিকে উদ্দেশ করে কে যেন ডাকছে বলেই দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে ঝাঁপ দেয় বড়াল নদীতে। এর পর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নুসরাত জাহান এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চারঘাটের জোতরঘু গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মোহাম্মদ বাবুর একমাত্র সন্তান সে। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়।
নুসরাতের পরিবার জানায়, সন্ধ্যায় হঠাৎ নুসরাত তার দাদিকে ডেকে বলে কে যেন ডাকছে, নদীতে যাব। বলেই বই রেখে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। দাদি ও ছোট চাচিও পেছন পেছন দৌড়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। বাসা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই বড়াল নদীতে ঝাঁপ দেয় সে। নদীতে বেশি পানি না থাকলেও তলিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আবারও অভিযান শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
স্থানীয়রা জানায়, বছরের ৪-৫ মাস বড়ালে বেশি পানি থাকে। বাকি সময় অল্প পানি থাকে। তবে কিছু কিছু জায়গায় গভীর গর্ত রয়েছে। এসব স্থানে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ১০ বছরে এ ঘাটে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন।
নুসরাতের দাদা আবু বক্কর সিদ্দিকের দাবি, এটা অলৌকিক ঘটনা। দুই বছর পরপরই এমন হচ্ছে।
চারঘাট ফায়ার স্টেশনের পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও ওই শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদনা: রীমা ইসলাম