ইসলামী ডেস্ক রিপোর্টঃ
কোরবানি ওয়াজিব হয় কারো কাছে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ, সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলার রূপা এর সমতুল্য সম্পদ থাকলে।১০ জিলহজ বা ঈদুল আজহার দিন কোরবানি করা উত্তম। তবে কেউ কোনো ব্যস্ততা বা অন্য কোনো কারণে এই দিন কোরাবানি করতে না পারলে তিনি ১১ এবং ১২ জিলহজ কোরবানি করতে পারবেন।
কোরবানি করার জন্য শরিয়তে কয়েক ধরনের পশু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।বয়সের ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা অন্তত এক বছর। গরু, মহিষ অন্তত দুই বছর ও উট অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।
কোরবানির পশু কেনার সময় অনেক সময় পশুর সঙ্গে মোবাইল সেট, কখনো ফ্রিজ ফ্রি দেওয়া হয়। কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে দেওয়া মোবাইল বা ফ্রিজ ব্যবহার করা যাবে নাকি সদকা করে দিতে হবে—এমন প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।
এ ক্ষেত্রে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের বক্তব্য হলো— কোরবানির পশুর সঙ্গে মোবাইল, ফ্রিজ বা অন্য কিছু ফ্রি দিলে তা নিজে ব্যবহার করতে পারবে। তা সদকা করে দেওয়া জরুরি নয়। কারণ এ জাতীয় জিনিসগুলো কোরবানির পশুর সঙ্গে পেলেও তা কোরবানরি অংশ বা সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়; বরং তা পৃথক ক্রয়কৃত পণ্যের মতোই।