ক্যাসিনো হোতা সেলিম প্রধানের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধানের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশি¬ষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় সেলিম প্রধানকে দুটি অভিযোগে চার বছর করে মোট ৮ বছর কারাদণ্ড ও ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। পরে এই সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করে দুদক।


প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।