ক্ষতিগ্রস্ত দুই লাখ ভূমি মালিক ড্যাপের বিধিমালা সংশোধন না করলে কঠোর কর্মসূচির হুম‌কি

প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিগত সরকারের ত্রুটিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫ ও বৈষম্যমূলক ফ্লোর এরিয়া রেশিওর (এফএআর) কারণে ঢাকা শহরের আবাসন উন্নয়ন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকার ভূমি মালিক সমিতি। তাদের অভিযোগ, ঢাকার দুই লক্ষাধিকের বেশি ভূমি মালিক ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই বৈষম্যমূলক ড্যাপের কারণে দ্রুত বাড়ছে ফ্ল্যাটের দাম এবং বাড়ি ভাড়া। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০০৮ অনুসারে ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির নেতারা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।

রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ করেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকার ভূমি মালিক সমিতির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকশ ভূমি মালিক অংশ নেন।

মানববন্ধন থেকে ঢাকার ভূমি মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ট্যাগ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করা হয়। ঢাকা শহরের বহুবিধ সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এটা করা হয়। যা নাগরিকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করে। ড্যাপ ২০২২-২০৩৫-এ ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এলাকার সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকাতে অপরিকল্পিত এরিয়ার ট্যাগ দিয়ে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস কমিয়ে দেওয়া হয়।
তারা বলেন, এই শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকরা ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না। নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে গেলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একই পরিমাণ জমিতে আগে যেখানে ১০তলা ভবন হতো, ফ্লোর এরিয়া রেশিও ইস্যুতে এখন সেখানে ৫তলা ভবন পাওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছি। এতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকদেরকে এই শহরের বাইরে বের করে দেওয়ার সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ ও বৈষম্যমূলক ফ্লোর এরিয়া রেশিও সংশোধন দাবি করেন ভূমি মালিকরা।

আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকিও উচ্চারণ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা।