ডেস্ক রিপোর্ট:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার আগেই আগামী ১০ জানুয়ারি ট্রাম্পের ঘুষ মামলায় সাজার রায় হতে যাচ্ছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিবিসি ও আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান এম. মার্চান এক আদেশে ট্রাম্পের এই মামলার সাজার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই ঘটনাকে মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীর হিসেবে উল্লেখ করেছে। কেননা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে ‘হাজির’ হতে হচ্ছে।
জুয়ান বলেছেন, ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে স্ব-শরীরে বা ভার্চুয়ারি আদালতে হাজির হতে পারেন। তবে জুয়ান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না এবং তার সাজা হবে নিঃশর্ত অব্যাহতি। এর অর্থ হচ্ছে ট্রাম্পের কোনো অর্থদণ্ড বা প্রবেশন হচ্ছে না। এটিকে তিনি যথার্থ সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাজা আরোপের ফলে ট্রাম্পের আপিল করার পথ সুগম হবে। মার্চান তার রায়ে স্বীকার করেছেন, ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে তিনি আপিল করতে চান।
এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, এই মামলায় কোনো শাস্তি হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছেন, এই বেআইনি মামলাটি কখনই আনা উচিত ছিল না, এবং সংবিধান অবিলম্বে এটি খারিজ করার দাবি করে।
এর আগে যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুষ প্রদান ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার রায় খারিজের আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তবে সেইসময় তা খারিজ করে দিয়েছিলেন জুয়ান মার্চান।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এ সংক্রান্ত মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়।
গত মে মাসে নিউইয়র্কের একটি আদালতে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। এমনকি এই মামলায় তার সাজা ঘোষণার তারিখও গত ২৬ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। তখন বিচারপতি মার্চান তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন।