খতনা করাতে গিয়ে শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি ,ময়মনসিংহঃ 

ঈশ্বরগঞ্জে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ১১ বছরের এক শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম (খতনাকারী)। ঘটনার পর আহত শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশু ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর অসুস্থ নির্জরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাদের বাড়িতে কেউ নেই। সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।ভুক্তভোগীর চাচাতো বোন নাদিরা বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির চাচাতো বোনজামাই শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের পুরুষাঙ্গের চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার কাটতে গিয়ে গোপনাঙ্গের অর্ধেকের বেশি অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম।’

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন তিনি। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।অভিযুক্ত আকবর আলী (হাজাম) গোপনাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ভুলে ওই শিশুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছি।’