নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রোববার শুনানির এ দিন ধার্য করেন। সোমবার খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায় এবং সাজা বৃদ্ধি করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার ২০১৯ সালে করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে কার্যতালিকায় ৬ ও ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় এ মামলার রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা এই আবেদন রোববার মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।