খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রায় রাজনীতি কোথায়?

প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক যুগ পর ২১শে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, যার মাধ্যমে প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেল ছয় বছরেরও বেশি সময় পর।

নানা রোগে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার দাবিতে রাজপথে টানা আন্দোলন করেছে বিএনপি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির অন্যতম বড় দাবি ছিল খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো। কিন্তু মুক্ত খালেদা জিয়া এতদিনেও কেন বিদেশে গেলেন না সে প্রশ্ন উঠেছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হলেও খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাননি।
সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাত্রার স্বাস্থ্যগত দিক যেমন আছে তেমনি একটি রাজনৈতিক দিকও রয়েছে বলেই আলোচনায় আছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি কেবল স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়।

“তিনি তো এখন মুক্ত। সুতরাং তিনি যে কোনও সময় বাইরে যেতে পারেন। তিনি যদি বাইরে যেতে দেরি করেন বা না যান তাহলে বুঝতে হবে যে এর পেছনে কোনও না কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আহমদ।
বিএনপির তৃণমূল এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকের চাওয়া হচ্ছে অনিবার্য না হলে খালেদা জিয়া দেশেই থাকুক।

এর বড় কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হবে- অন্তর্র্বতী সরকারের এমন অবস্থানের কারণে বিএনপির অনেকের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে।

মহিউদ্দিন আহমদ বলছেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার ভাষায় খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার একটা ‘ভিন্ন রাজনীতি’ রয়েছে।

“খালেদা জিয়াকে নিয়েই তো বিএনপির রাজনীতি। উনি যদি চোখের সামনে না থাকেন তাহলে বিএনপি অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে। যতদিন বেগম জিয়া দৃশ্যপটে আছেন ততদিন তিনিই কিন্তু বিএনপির রাজনীতির কেন্দ্র। সুতরাং তার প্রেজেন্সটা (উপস্থিতি) বিএনপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

“সেজন্যই হয়তো তিনি ভাবছেন বা তার দল ভাবছে যে তিনি যাবেন কি যাবেন না। এটার মধ্যে রাজনীতি আছে। বিএনপির রাজনীতিতে খালেদা জিয়া এখন সবচাইতে বড় তুরুপের তাস মনে হচ্ছে আর কি। এই তাসটা তারা হারাতে চাইবে না,” বলেন মি. আহমদ।

সূত্র-বিবিসি বাংলা।