খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি’র পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দলীয় (বিএনপি) নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি’কে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বারংবার সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।’
ড. হাছান আরো বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলখানায় রয়েছেন। আদালত ছাড়া তাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নাই। শুধুমাত্র আইনী প্রত্রিয়ায় তাঁর (বেগম জিয়ার) মুক্তি সম্ভব।’
তথ্যমন্ত্রী আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক’র ৫ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের সমাবেশ কর্মসূচি সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, সড়ক দূর্ঘটনা সম্পর্কিত কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন ‘ট্রমা লিংক’ সংগঠনের ৫ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘ট্রমালিংক : বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের কমিউনিটি ভিত্তিক সাড়া দেওয়ার প্রথম সংগঠনের প্রথম ৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে ড. হাছান সাংবাদিকদের বিভিন প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘একটি দূর্নীতি মামলায় আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে বেগম জিয়া জেলে রয়েছেন। তাই কেবলমাত্র আদালতই তাকে মুক্তি দিতে পারে। তার মুক্তির ব্যাপরে সরকারের কোনো এখতিয়ারও নেই।’
অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি’র দাবি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘ আমি বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ওই দলের নেতৃবৃন্দকে বলবো এই গৎবাঁধা কথাগুলো বাদ দিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার জন্য।’ একইসাথে ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করেছেন,যা যথার্থ নয়,বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২৯ শতাংশ আর উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই ভোটের মধ্যে আমাদের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোটে জয়লাভ করেছে। এখন এই লজ্জা ঢাকার জন্য তাদের নানা কথা বলতে হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সেই কথাগুলোই বলছেন।’
ড. হাছান বলেন ‘ইভিএম’ পদ্ধতিতে যেভাবে ভোট হয়েছে, এর চেয়ে স্বচ্ছ ও ভালো ভোট বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয় নি।’
তিনি বলেন, ‘ইভিএম’ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে ইভিএমই প্রত্যেক দলের জন্য পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এখানে কারো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগও নেই। বিএনপি’র সমাবেশের অনুমতি মিলবে কি না – এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমস্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে অনুমতি দেবে কি দেবে না,সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে তাদের (বিএনপির) উদ্দেশ্য কি, সমাবেশ করা, না কি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। কারণ অতীতে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করতে গিয়ে হাঙ্গমা করেছে,মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে এবং গাড়ি ভাংচুর করেছে।’
এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক’র ৫ম বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তথ্যমন্ত্রী স্কুল পর্যায়ে ট্রাফিক আইন শেখানোর প্রয়োজনয়ীতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে, শিক্ষার্থীদের স্কুলে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শেখানো প্রয়োজন। সারাজীবন সেটা মনে থাকবে।’ ড. হাছান সারাদেশে অধিক সংখ্যক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার জন্যও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতি আহবান জানান।