খালেদা জিয়া অস্ত্র দিয়েছিলেন, আমি দিয়েছি খাতা-কলম
ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আদর্শ নেতৃত্ব গঠনের জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন, আমি দিয়েছি খাতা–কলম।’
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আজ বেলা আড়াইটায় শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর বাজানো হয় দেশাত্মবোধক গান।
বিকেল পৌনে পাঁচটায় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাঙালির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা আছে। শহীদদের তালিকা যদি করি, তাহলে সেখানেও আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
ছাত্রলীগের গঠন ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, তা মনে রাখতে হবে। মনে রেখেই একজন কর্মী হিসেবে আচার–আচরণ করা উচিত। এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির বিশ্বাস অর্জন করে চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই আইয়ুবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। সাত খুনের আসামিকে, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা মেধাবী ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কাজে লাগিয়েছেন ছাত্রজীবনকে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আদর্শ, সতত ছাড়া নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কখনো অর্থ-সম্পদের দিকে তাকাননি। সারা জীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাজনীতি করেছেন।
আদর্শ নিয়ে, নীতি নিয়ে ছাত্রলীগকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করতে হবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই আদর্শকে ধারণ করতে হবে।
আজ সকাল থেকেই নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান রূপ নেয় ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মীদের এক মিলনমেলায়।