খুসখুসে কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

খুসখুসে কাশি একটি বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি, শুষ্ক বাতাস বা দূষণের কারণে হতে পারে। আমরা সবাই জানি যে অ্যান্টি-বায়োটিকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করে, তাই, ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের দিকে না গিয়ে, সহজ ও প্রাকৃতিক প্রতিকার বেছে নিতে হবে। তুলসি, আদা এবং মধু দিয়ে তৈরি প্রশান্তিদায়ক পানীয় তাৎক্ষণিক উপশম প্রদান করে এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই উপাদানগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

১. তুলসি

তুলসিকে সবচেয়ে উপকারী ঔষধি গাছের মধ্যে একটি বলে অভিহিত করে হয়, যার কেবল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরালই নয়, বরং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এটি খুসখুসে কাশি প্রশমিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তুলসিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।

২. আদা

আদা গলায় প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতার জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। এতে জিঞ্জেরলের মতো যৌগ রয়েছে, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকানি, কাশি এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আদা লালা উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে, গলাকে আর্দ্র রাখে এবং অস্বস্তি কমায়।

৩. মধু

মধু একটি প্রাকৃতিক ডিমালসেন্ট, যার অর্থ এটি গলাকে আবৃত করে এবং একটি প্রশান্তিদায়ক প্রভাব প্রদান করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মধু একটি কাশি দমনকারী হিসাবে কাজ করে, যা গলার জ্বালা উপশমে সহায়তা করে।

তুলসি, আদা এবং মধু পানীয় কীভাবে তৈরি করবেন

এই দ্রুত এবং সহজ রেসিপিটি মাত্র কয়েকটি উপাদান দিয়ে বাড়িতে তৈরি করা যেতে পারে:

উপকরণ:

পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা (অথবা এক চা চামচ শুকনো তুলসি)

এক ইঞ্চি টুকরো আদা (কুচি করা বা কাটা)

এক কাপ পানি

এক চা চামচ মধু

আধা চা চামচ লেবুর রস (ভিটামিন সি যোগ করার জন্য ঐচ্ছিক)

যেভাবে তৈরি করবেন:

একটি ছোট সসপ্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে তুলসি পাতা এবং কুচি করা আদা দিয়ে দিন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট ধরে ফুটতে দিন, যাতে উপাদানগুলো তাদের উপকারী যৌগ ছেড়ে দিতে পারে। মিশ্রণটি একটি কাপে ছেঁকে নিন। তরলটি সামান্য ঠান্ডা হওয়ার পরে মধু (এবং ইচ্ছা করলে লেবুর রস) মিশিয়ে নিন। উষ্ণ পানীয়টি ধীরে ধীরে পান করুন এবং এর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব উপভোগ করুন।