তৈরি পোশাক কারখানা খোলায় ও দোকানপাটে আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যু হচ্ছে, তার জন্য দুঃখিত, তবে মৃত্যুর হার অন্য দেশের তুলনায় কম আছে। সংক্রমণ কিছু বেড়েছে। গত আট–দশ দিনে ৪০০-৫০০ করে দেখেছি। এখন ৭০০। যেহেতু কিনা এখন স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট খোলা হয়েছে (খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে), গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, দোকানপাটে আনাগোনা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ যে বৃদ্ধি পাবে, এটি আমরা ধরেই নিতে পারি। আমাদের যতটুকু সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবন-জীবিকা দুটোই পাশাপাশি যাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করবে যাতে রোগী না বাড়ে। আমাদের ম্যান্টেড হলো যাতে রোগীগুলো অধিক চিকিৎসা পায়।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল থেকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। গতকাল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০ মে থেকে হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিং মলগুলো শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে খোলা হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দোকানপাটও হয়তো খুলে যাবে। এ বিষয়ে কারিগরি কমিটি যে সুচিন্তিত পরামর্শ দেবে, সেগুলো যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর সরকারের যে নির্দেশনা থাকবে, সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।
বৈঠকে কারিগরি কমিটির পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার ওপর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো রোগীকে যেন কোনো হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে কমিটি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড রোগীদের পাশাপাশি অন্য রোগীদের সুচিকিৎসা বজায় রাখতে হবে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
চিকিৎসকদের বেশি আক্রান্ত হওয়া নিয়েও কারিগরি কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কমিটি হাসপাতালে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের আরও উৎসাহ দেওয়া, সমস্যগুলো দূর করার পরামর্শ দিয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। এ ছাড়া ঈদের সময় যাতায়াতের বিষয়েও কমিটি মতামত দেবে।