সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের খালকুলা সড়ক খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তাড়াশ পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে খুটিগাছা মোড় পর্যন্ত একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালকুলা সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তের মধ্যে পানি বেঁধে থাকে। এ সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাকসহ সব যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। কোনো-কোনো যানবাহন গর্ত এড়িয়ে সড়কের পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়ে চলাচল করছে।
তাড়াশ থেকে মহিষলুটি হয়ে ঢাকা, রাজশাহীসহ সারা বাংলাদেশে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হলো খালকুলা সড়ক। খালকুলা সড়ক দিয়ে সারা দিন ও রাতভর বহু যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। কিন্তু সঠিকভাবে সংস্কার করা হয়নি কখনো।
সড়কের পাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমরা ছয় বছর ধরে খালকুলা সড়কের পাশে বাড়ি করে বসবাস করছি। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে একবারও সড়কটি ভালোভাবে পাকা করা হয়নি। বছরে এক-দুইবার সামান্য বালি ও খোয়া গর্তে ফেলে চলে যায় সওজ বিভাগের লোকজন। সড়কের গর্তের কাঁদা-পানিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি।’
অপরদিকে ভোরের আলো বাসের চালক মন্টু হোসেন বলেন, ‘এ বাসটি প্রতিদিন গুল্টা বাজার থেকে তাড়াশ ও মহিষলুটি হয়ে সিরাজগঞ্জ চলাচল করে। কিন্তু খালকুলা সড়কের ভাঙাচোরার কারণে গাড়ি চালাতে হয় খুব ধীর গতিতে। যাত্রীদের সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারিনা।’
ভুক্তভোগী স্থানীয়রা বলেন, খালকুলা সড়কের খানাখন্দের কারণে বসতঘর নষ্ট হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় গর্তের কাঁদা-পানি ছিটে টিনের বেড়াতে লাগে। পরে সেখানে মরিচা ধরে ফুটো হয়ে যায়। তাছাড়া সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন তারা। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক গর্তে হেলে যায়। এভাবে চলতে থাকলে যে কোনো সময় বসতঘরে উল্টে পড়তে পারে।
তাড়াশ জিকেএস হাসপাতালের পরিচালক খন্দকার মো. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পাশে জিকেএস হাসপাতাল। এ হাসপাতালের সামনে সওজ বিভাগের সম্পূর্ণ সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে রোগীদের।’
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছয় কিলোমিটার খালকুলা সড়কের গর্ত ও ভাঙাচোরা সংস্কার করে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করা হবে।’