গাইবান্ধায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরকে (৫২) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টও ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা চেয়ারম্যানের মা বেলী বেগম জানান, তিনি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে ফুলছড়ি উপজেলার গটিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের জানাজা শেষে নিজ বাড়ি সাঘাটা উপজেলার যাদুরতাইড় গ্রামে ফিরতে ছিলেন। পথে ওই এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নিয়ে লাঠি, লোহার রড় ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে যায়।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী সাদিয়া বিশ্বাস বলেন, প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার ভাগিনা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গাইবান্ধা-৫ আসনের স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। আমার ধারণা এ কারণে তাকে মারধর করা হয়।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তানভীর রহমান জানান, জাহাঙ্গীর কবিরের দুই পা এবং ডান হাত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখম হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রাত সোয়া আটটায় ঘটনাস্থল থেকে সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হামলা নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতার অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তদন্ত অব্যাহত আছে।