গাইবান্ধায় বিএনপির কাউন্সিলে ভোটার ৪৫৯, ভোট পড়ল ৪৮৫

প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫

গাইবান্ধা  প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন, কিন্তু গণনায় পাওয়া গেছে ৪৮৫টি ভোট। এই অসঙ্গতির কারণে ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু।

তিনি জানান, ভোট গণনার সময় দেখা যায়, বৈধ ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি পড়েছে। এ ধরনের অনিয়মের কারণে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় সদর উপজেলার খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নুরুল আজাদ মণ্ডল। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিল। এতে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান আহ্বায়ক মো. মোস্তফা কামাল। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোট গণনার সময় দেখা যায়, মোট ৪৮৫টি ভোট পাওয়া গেছে, যা ভোটারের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে ২৬টি ভোট বেশি। ফলে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এই অসঙ্গতির কারণে ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এই ভোট জালিয়াতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল আউয়াল আরজু জানান, ভোট বেশি পড়ার ঘটনায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। পরে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে হেরে যাওয়া প্রার্থীর ব্যালট পেপার ঢুকানোর বিষয়টি উঠে এসেছে। যাদের মাধ্যমে তিনি এসব করেছেন তাদের স্বীকারোক্তিসহ সমস্ত প্রমাণাদি দলের সভাপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।