
ক্রীড়া ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। বাড়িঘর, হাসপাতাল সব জায়গাতেই প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে লাশের সারি। ইসরায়েলের ন্যক্কারজনক হামলায় ফিলিস্তিনিদের এমন অবস্থা দেখে হৃদয় পুড়ছে বিশ্ববাসীর। ক্ষতিগ্রস্ত গাজাবাসীর জন্য প্রাণ কাঁদছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও।
সে ধারাবাহিকতায় নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সকালে ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করেন মুশফিকুর রহিম। ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন, ‘ওহ আল্লাহ। নির্যাতিতদের সব জায়গায় সাহায্য করুন। ওহ আল্লাহ আপনি তাদের রক্ষাকর্তা, সাহায্যকারী ও শক্তিদাতা হিসেবে কাজ করুন।’
এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাজার দালানকোঠার ছবি পোস্ট করেন।
তার কণ্ঠেও নির্যাতিতদের প্রতি কান্না ঝরেছে। ৩৯ বছর বয়সী বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, দয়া করে সাহায্য করুন। হে রাহমানুর রাহিম, দয়া করে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রক্ষাকর্তা। দয়া করে তাদের রক্ষা করুন ও বিজয়ী বানিয়ে দিন। আমিন। হে রব, এটা সহ্য করা যাচ্ছে না। আপনি আল-আহাদ, আপনি আস-সামাদ। হে আল্লাহ, দয়া করে রক্ষা করুন।’
গাজার ভয়ংকর অবস্থা দেখে কান্না ধরে রাখতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মিরাজ গাজার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘গাজার আকাশ আজও বারুদের গন্ধে ভারী। গাজার আকাশ আজ অন্ধকার। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঘরবাড়ি। নিস্তব্ধ শিশুরা কাঁদছে নিঃশব্দে। প্রতিটি কান্না প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমাদের হৃদয়ে। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলাই, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াই, আর গাজার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, নির্যাতিতদের ধৈর্য দিন, গাজাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিন। হে পরাক্রমশালী আল্লাহ, গা’জাকে হেফাজত করুন, অসহায়দের সহায়তা করুন।আপনি সর্বশক্তিমান।’
আকবর আলীর মতে গাজা হয়ে গেছে নির্যাতিত মানুষের প্রতীক। বাংলাদেশের ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ফেসবুকে আকবর লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। পুরো বিশ্ব এই গণহত্যার জন্য দায়ী থাকবে। বিশেষ করে আরবসহ প্রতিটি মুসলিম দেশ যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও এর প্রতিবাদ করেনি। হে আল্লাহ, গাজাসহ বিশ্বের প্রত্যেকটা মুসলমানকে আপনি কুদরতি শক্তি দ্বারা হেফাজত করুন।’