ডেস্ক রিপোর্টঃ
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজায় নিহত হয়েছে ২৩ হাজারের বেশি। আহতও ছাড়িয়েছে ৬০ হাজারের বেশি। অঞ্চলটিতে মানবিক দুর্যোগ ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল গাজা নয়, লেবাননে হামলা চালিয়ে হামাস কমান্ডারদেরও হত্যা করছে ইসরায়েল। ফলে বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেক আগে থেকেই। এরই মধ্যে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে টানা দুইদিন ধরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত পাঁচ জন হুথিদের সদস্য নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এই হামলায় গাজা যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরো বাড়ল। এরই মধ্যে এ হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আড়াই শতাংশ বেড়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত নভেম্বর থেকে লোহিতসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান-সমর্থিত হুথিদের হামলার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, রয়্যাল এয়ারফোর্সের যুদ্ধবিমানগুলো সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট টার্গেটে হামলা চালাতে সহায়তা করেছে। তিনি আরো বলেন, এই হামলা সীমিত, দরকারি এবং আত্মরক্ষার নিমিত্তে যথাযথ মাত্রার পদক্ষেপ। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, এই মিশনে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও বাহরাইন সমর্থন দিয়েছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হুতিদের নিয়ন্ত্রণ লোহিতসাগরের হুদায়দাহ বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হুথিদের শক্ত ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। হুথিরা ইয়েমেনের বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা বলছে, ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে তারা মিত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা করছে।