গাজায় ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল এবং গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গণকবর থেকে এখন একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে।

যখন এসব গণকবর থেকে বেরিয়ে আসছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মরদেহ। ঠিক তখনই সামনে এলো রোমহর্ষক ঘটনা। ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য মোহাম্মদ মুঘাইয়ের জানিয়েছেন, এসব গণকবরে পাওয়া মরদেহের অন্তত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার আলামত পেয়েছেন তারা।

তিনি বলেছেন, “১০টি মরদেহের হাত বাধা ছিল। অন্যদের শরীরে মেডিকেল টিউব সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি নির্দেশ করছে তাদের খুব সম্ভবত জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে।”

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে শিশুদের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ মুঘাইয়ের শিশুদের বিকৃত মরদেহের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গণকবরে কেন শিশুরা? এসব প্রমাণ নির্দেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।”

দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই পুঁতে রেখেছে তারা।

খান ইউনিস এবং গাজা সিটিতে যখন গণহত্যার আলামত পাওয়া যাচ্ছে ঠিক তখনই গাজার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে বর্বরতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাবেন। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাফাহতে হামলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কবে হামলা চালানো হবে সে তারিখটি স্পষ্ট করেননি তিনি।

ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তারা ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছেন। যেগুলোর একেকটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবেন। এসব তাঁবুতে রাফাহতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আসা হবে।