জেলা প্রতিনিধি,গাজীপুরঃ
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ধীরে ধীরে বাড়ছে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ।শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে এ দুই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। তবে যানজট ঠেকাতে মহাসড়ক দুটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে সেচ্ছাসেবক।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে রেকার। দূরপাল্লার বাস দ্রুত গাজীপুর চৌরাস্তা এবং চন্দ্রা মোড় পার হতে পৃথক লেন করে দেওয়া হয়েছে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা না করতে চালক এবং তাদের সহকারীদের বলেছে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ড বাজার ও স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সড়কে যাত্রী এবং গণপরিববনে সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জানান, ময়মনসিংহগামী সড়কের উড়ালসড়ক যেখানে নেমেছে, সেখানেও অবৈধ পার্কিং এবং যাত্রী ওঠা-নামার কারণে প্রায় যানজট হচ্ছে।অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকাল থেকেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। এতে চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর অংশে যানবাহনের তেমন চাপ না থাকলেও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের সারি দেখা গেছে। ওই সড়কে থেমে থেমে যান চলছে।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীবাহী বাসগুলো ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে পেছনের গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারি ছুটি শুরু না হলেও শুক্রবার রাত থেকে ঘরমুখো মানুষ গ্রামে যাওয়া শুরু করেছে। যে কারণে রাত থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। শিল্পকারখানা ছুটি হলে যানবাহনের চাপ আরও কয়েকগুণ বাড়বে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
চন্দনা চৌরাস্তা এলাকার স্থানীয় পোশাক শ্রমিক শাহিন আলম বলেন, ‘কারখানা ছুটি হবে আরও দুই দিন পর। তখন ভিড় আরও বাড়বে। তাই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এখনই বাসের সিট পেতে সমস্যা হচ্ছে। ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি। এরপরও তাদের পাঠিয়ে দিলাম। কারখানা ছুটি হলে আমার কষ্ট হলেও যেতে পারব।’
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রেকার রাখা হয়েছে। যাতে যানবাহন বিকল হলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। গত বছর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক ছিল। এবার চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় দুটি উড়ালসড়কসহ টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সাতটি ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় আশা করছি, আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে ঈদযাত্রা।’
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ যাত্রায় শামিল না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শিল্প পুলিশ বলছে, ‘শিল্পকারখানা–অধ্যুষিত অঞ্চলের অনেক শ্রমিক অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় শামিল হন। খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে ওঠেন। এভাবে নিজের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেন ‘