গাজী টায়ার্স ভবনে উদ্ধার অভিযান নিয়ে যা বলছে বুয়েটের প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওপরের অংশে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রতিনিধিদল। তবে ভবনের নিচের কিছু অংশে উদ্ধার অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ার্স কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ’ভবনটিতে টানা প্রায় তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে। ফলে ভবনের অনেক অংশ ধসে পড়েছে। ছয়তলা ভবনের চারতলা ও পাঁচতলার ছাদ ভেঙে তিনতলার বেজমেন্ট এসে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশের রড বেরিয়ে গেছে। ভবনের ওপরের অংশে আগুন বেশি সময় ধরে জ্বলার কারণে সেখানে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণে কেমিকেল ছিল। যে কারণে ভবনে অনেক তাপ রয়েছে। এই মুহূর্তে ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।’
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। ড্রোন (ক্যামেরা) ও মই দিয়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করেছি। তবে আমরা আপাতত কোনও ডেডবডি (মরদেহ) দেখতে পাইনি। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন কলামের রড বের হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভবনের ওপরের তলাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব না। তবে ভবনের নিচে বেজমেন্টে রেসকিউ অপারেশন (উদ্ধার অভিযান) চালাবো।’

এর আগে, গত রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় রূপগঞ্জের রূপসীতে গাজী টায়ার্স কারখানায় আগুন লাগে। দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আগুন নেভানোর কথা জানালেও বিকাল থেকে ফের ভবনটিতে আগুন জ্বলে ওঠে। পরে দফায় দফায় বিভিন্ন সময় আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় স্বজনদের দাবি অনুযায়ী ১৭৪ জন নিখোঁজের তালিকা প্রথম দিকে করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা আরও ১২১ জনের তালিকা করেছে বলে জানা গেছে।