নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা মনোয়ারা (৬৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি হানিফ ব্যাপারী (৪৬) পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে পৌর সদরের পার-গুরুদাসপুর কলাবাগানের কাছে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মনোয়ারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় মামলার আসামিদের সনাক্ত করে পুলিশ। সিংড়া সার্কেল এএসপি মো. জামিল আকতারের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর থানার একটি টিম গত ২৩ জানুয়ারি রাত প্রায় ১ টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভাড়াটে খুনি মো. আবু হানিফ বেপারীকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বনশ্রী এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কল্যাণপুরেও অভিযান চালানো হয়। পরে ২৩ জানুয়ারি রাত দুইটার দিকে গ্রেফতার হানিফের দেওয়া তথ্যে আবারো পার-গুরুদাসপুর এলাকায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়। এসময় কালাকান্দর সংযোগ সড়কের কলাবাগানে অবস্থান নেওয়া হত্যা মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হানিফকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টাগুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে আবু হানিফ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কিচিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় পাইপগান এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত হানিফ উপজেলার কালাকান্দর গ্রামের রুহুল ব্যাপারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন,পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি ভোরে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে (৬৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এঘটনায় নিহত বৃদ্ধার দেবরের ছেলে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাটমুদ্রক্ষরিক খলিলুর রহমানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় ভাড়াটে খুনি হানিফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।