নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলশান-২ এ চা দোকানি রফিকুল ইসলাম এবং তাঁর কর্মচারী সাব্বিরকে কুপিয়ে ও গলা কেটে খুনের ঘটনায় রুমন নামে একই দোকানের আরেক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এই হত্যাকাণ্ডের হোতা বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর সড়কের একটি ঘর থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, রফিকুল ও তাঁর কর্মচারী সাব্বির দোকানের পেছনে একই প্লটে একটি কক্ষে রাতে থাকতেন। রুমন ঘটনার সাত দিন আগে ওই দোকানে কর্মচারী হিসেবে যোগ দিয়েছিল। কম বেতন ও দোকানের কাজকর্ম নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে রুমনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে দোকানের মালপত্র ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রুমন। সে অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে প্রথমে ঘুমন্ত রফিকুলের মাথা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় সাব্বির ঘুম থেকে জেগে ঘটনা দেখে ফেললে খুন করা হয় তাঁকেও। তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে রুমন টাকা, কফি মেশিনসহ দোকানের মালপত্র নিয়ে সকালে পালিয়ে যায়।
এদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে সম্প্রতি ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে বসে গল্প করতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার এমন একটি ভিডিও ফুটেজসহ চ্যানেল টোয়েন্টিফোর সংবাদ প্রচার করে। আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও ভিডিওতে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলেকে দেখা যায়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে দেশ ছেড়ে গেছেন– এমন প্রশ্নে র্যাব কর্মকর্তা মুনীম ফেরদৌস বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছেন, নাকি অবৈধভাবে, সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনো উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই।