নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ বাসিত খান মুসাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় সাত বছরের এ শিশুকে। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হবে।
চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ৫০ দিনের জন্য চিকিৎসা হবে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছেন। সময়ে সময়ে মুসার চিকিৎসার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে।
মুসাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য বিনামূল্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহায়তা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই। এ ছাড়া সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশের সাধারণ মানুষ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা মুসার চিকিৎসায় অর্থসহায়তা দিয়েছেন।
মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান বাসিত খান মুসা। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে দাদি মায়া ইসলাম (৬০) ও মুসা গুলিবিদ্ধ হন। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। মাথায় বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত ২৬ আগস্ট সংকটাপন্ন মুসাকে সিএমএইচের নিউরোসার্জন বিভাগে (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) স্থানান্তর করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের শিশু নিউরোলজি বিভাগে। সেখানকার চিকিৎসকদের সুপারিশে মুসাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর হলো।
সংকটাপন্ন মুসাকে দেশে তিন মাসের বেশি সময় ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা মুসা বারবার সংক্রমণের সম্মুখীন হয়। তার শরীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। পরে চিকিৎসকরা জানান, দেশে আর মুসার চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সুপারিশ করেন তারা।