গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মাদরাসাছাত্র নিহতের মামলায় দুজন রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মাদরাসাছাত্র রেজাউল করিম নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. সিরাজ তালুকদার ও মো. সোলায়মান ওরফে সালমানের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দীন মীর। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গুলিস্তানে দলটির দুই নেতা কামরুল ইসলাম ও শাহীন আহমেদ চেয়ারম্যানের অনুসারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে পড়ে যান মাদরাসাছাত্র রেজাউল করিম। তখন কামরুলের অনুসারিরা রেজাউল করিমকে শাহীন আহমেদ চেয়ারম্যানের কর্মী সন্দেহে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এর একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন রেজাউল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
জানা যায়, ঘটনার দিন ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জড়িতদের অধিকাংশই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা। মাদরাসা ছাত্র রেজাউল করিমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন চেয়ারম্যানের কর্মী ভেবে ছুরিকাঘাত করেন কামরাঙ্গীরচরের পুর্ব রসুলপুর ৯ নং গলির দক্ষিণের বাসিন্দা মেরাজ ওরফে মিরাজ ওরফে মেনাজ, উত্তরের বাসিন্দা বাদশা, ৯ ও ৮ নং গলির দক্ষিণের বাসিন্দা ইমন, ৭ নং গলির দক্ষিণের বাসিন্দা শুক্কুর আলী ডিলার, ৪ নম্বর গলির দক্ষিণের বাসিন্দা নাসিরসহ ১০-১২ জন। এ ঘটনায় নিহত মাদরাসা ছাত্র রেজাউল করিমের বোন ফারহানা আফরিন সুমি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে কামরাঙ্গীচরের ৮ নং গলি থেকে মো. সিরাজ তালুকদার ও মো. সোলায়মান ওরফে সালমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।