গোপালগঞ্জে আমের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৩

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি:
আমের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সুজন পাইক (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সুজন পাইক উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে। এর আগে শনিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির পিতা কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে আম পেড়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সুজন ওই শিশুটিকে চিত্রাপাড়া গ্রামের শামীম শেখের পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়ি ফিরে এ ঘটনা তার মাকে জানালে তিনি সুজন পাইকের মামা শামীম শেখকে জানান। এরপর সুজন পাইকের মামা শামীম শেখ ও তার আত্মীয় স্বজনের বাধার মুখে ওই শিশুটির পরিবার থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। এমনকি অসুস্থ শিশুর পরিবারের লোকজনও তাকে চিকিৎসাও করাতে পারেননি।

শিশুটির পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী দুই কন্যাকে নিয়ে ওয়াবদার হাটের পাশে ভাড়া থাকে। কয়েকদিন আগে পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে সুজন পাইক আমার ছয় বছরের শিশুকে আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে তার মামা শামীম শেখের পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।

আমি বাড়িতে না থাকার কারণে আমার অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে দেরি হয়েছে। সুজন পাইকের আত্মীয়-স্বজন আমাকে মামলা করতে বাধা দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার (২ জুন) আমার কন্যা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করি। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় শনিবার (৩ জুন) আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

এ বিষয়ে সুজন পাইকের বাবা জামাল পাইকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে বলে জানান।

কোটালীপাড়া থানার এসআই মাসুম লাভলু বলেন, কন্যা শিশুটির পিতার মামলা দায়েরের পরে অভিযুক্ত যুবক সুজন পাইককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে, শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।