গ্রীষ্মকালে দেরিতে নামাজ পড়া নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ইসলামী ডেস্ক রিপোর্টঃ
নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
إِنَّ الصَلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا مُوَقَّتًا
নিশ্চয়ই নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা মুমিনদের ওপর ফরজ। (সূরা আন-নিসা (৪), আয়াত, ১০৩)
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় সময়মতো এবং জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলার কারণে এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪২০)
রাসূল সা. সময়মতো নামাজ আদায় উত্তম আমল বলে গণ্য করেছেন। এক হাদিসে হজরত উম্মু ফারওয়া রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)। তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচণ্ড গরমের সময় কিছুটা দেরিতে তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার জোহরের নামাজ পড়তেন।
আবু জার রা. বলেন, এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ স.-এর সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবীজি সা.বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবীজি সা. পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবীজি সা. বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৯)