গ্রেফতার হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে এবার মামলা করলেন সাঈদীর সেই চিকিৎসক

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হত্যার হুমকির অভিযোগে এবার মামলা করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন তিনি। মামলায় তাফসীরুল ইসলাম (২৩) ও হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে (৩২) আসামি করা হয়েছে।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান জানান, ওই চিকিৎসক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার অভিযুক্ত দুই আসামিকে র‌্যাব ও সিটিটিসি থানায় হস্তান্তর করেছে। আমরা তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের অধীনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এসময় সাঈদীর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ছিলেন ডা. মোস্তফা জামান। সাঈদীর মৃত্যুর পর মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে ধানমন্ডি মডেল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই চিকিৎসক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ থেকে তফসিরুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। এরপর ঢাকার উত্তরা থেকে হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।


জিডিতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক উল্লেখ করেন, তিনি বিএসএমএমইউতে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৩ আগস্ট রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিএসএমএমইউর হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত¡াবধানে ছিলেন তিনি।
১৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসক জামান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর এ বিষয়ে ডিএমপির সিটিটিসি ও র‌্যাবের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে সিটিটিসি ও র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তীতে দুজনকে আটক করার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি থানায় এসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করি।