সৈয়দপুর প্রতিবেদকঃ
ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারছে না। আজ শনিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত নির্ধারিত তিনটি ফ্লাইট বিমানবন্দর ছাড়তে পারেনি। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ওই তিন ফ্লাইটের প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরের মানুষের জীবনযাত্রা। আজ সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত ও কুয়াশার কারণে মানুষ গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। অনেকে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। শহরে লোকজনের চলাচল কমেছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, পাঁচ দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি এই জনপদের মানুষ। এতে করে প্রায় প্রতিদিনই সকাল ও রাতের ফ্লাইট শিডিউল মেনে চলাচল করতে পারছে না।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের চারপাশে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। দুপুর পর্যন্ত ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) ছিল মাত্র ৫০০ মিটার, উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ২ হাজার মিটার। এ কারণে বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো উড়োজাহাজ চলাচল করেনি। এই সময়ে তিনটি ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এগুলো হলো নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও বিমান বাংলাদেশ। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ওই তিন ফ্লাইটের প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।
শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বীরগঞ্জের যাত্রী আহসান হাবিব জানান, জরুরি কাজের জন্য উড়োজাহাজের টিকিট নিয়েছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন, শিডিউলের বিপর্যয় ঘটেছে।