জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর
উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা দিনাজপুরসহ উত্তরের জনপদ। কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আবহাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। একদিকে আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।
ট্রাক চালক উদয় মিয়া বলেন, ফুলবাড়ি থেকে দিনাজপুর যাচ্ছি। ধান নিয়ে সকাল ৮টায় বের হয়েছি, ১ ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।
কৃষক মিরাজ সরকার বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আলুর গাছ মরে যাচ্ছে ও রসুনের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করেও লাভ হচ্ছে না। এবার ঠান্ডা বেশি এবং দিনের বেশি ভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। গতবারের তুলনায় এবার আলু ও রসুনের ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি শ্রমিক রুবেল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে ফসলের মাঠে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তবুও কাজ করতে হচ্ছে, নাহলে সংসার চলবে কীভাবে?