ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই কর্মকর্তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যশোর ও কুড়িগ্রাম থেকে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে প্রধান কার্যালয়ে বদলি করেছে দুদক। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। আজ বুধবার (১২ জুলাই) দুদক পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ) মো. মনিরুজ্জামান বকাউল সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে আগামীকালের (১৩ জুলাই) মধ্যে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বদলির আদেশে।

জানা যায়, দুদকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সম্প্রতি দুদকের সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘুস গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান দুদক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি আশ্বাস দিয়ে হক টেক্সটাইলসের মালিক ব্যবসায়ী শামসুল হকের কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। পরে কয়েক দফায় ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এ ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে পাবনা থেকে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। অন্যদিকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

গত ৯ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বোন রুমাইয়া শিরিন দাবি করেন, তার ভাই আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলমগীরের বিরুদ্ধে এক নোটিশের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। এরপর তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের দায়িত্ব পান ডিএডি সুদীপ কুমার চৌধুরী। এরপর তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ভয়ে তিনি পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করলেও এতে সন্তুষ্ট না হয়ে মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা। সুদীপ কুমার চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে মামলা করার পর নিজেই সেই তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে আবার আগের টাকা দাবি করেন। ওই ঘুস দাবির অডিও রেকর্ডসহ সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।