নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে একটি পিকআপ ভ্যান থেকে প্রায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।দণ্ডিত ইব্রাহিম খলিলের (২৯) বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলায়। তিনি ইয়াবা বহনকারী পিকআপটি চালাচ্ছিলেন। খালাস পাওয়া একই এলাকার মো. হালিম (৩৬) পিকআপ চালকের সহকারী ছিলেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন-মুরাদপুর সড়কের রউফাবাদ এলাকায় র্যাবের চেকপোস্টে পিকআপটি তল্লাশির মুখে পড়ে। এসময় পিকআপ ফেলে চালক ইব্রাহিম খলিল ও সহকারী হালিম পালিয়ে যেতে থাকলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দেয়। ইব্রাহিম আটক হলেও হালিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
র্যাব সদস্যরা পিকআপের চালকের আসনের নিচে বিশেষ কায়দার রাখা ৯ হাজার ৮৯৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছিলেন, কক্সবাজার থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রির জন্য যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. শহিদুল আলম বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করেন।
বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলা তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবে কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম সরকার ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে দু’জনকে আসামি করা হয়। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
রায়ে আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১০ (গ) ধারায় আসামি ইব্রাহিম খলিলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। উভয় আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। দণ্ডিত ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।