
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহার পারাবিল ময়দানে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সুন্নাতে ভরা বিভাগীয় ইজতেমা। কোরআন ও সুন্নাহ প্রচারে নিয়োজিত বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক দ্বিনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত এ ইজতেমা শেষ হবে ২ মে জুমার নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে।
এ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাওয়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম বিভাগের মিডিয়া জিম্মাদার মুহাম্মদ শওকত আত্তারি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইজতিমার জন্য পারাবিল ময়দানজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ চেকপোস্ট, সিসি ক্যামেরা, পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার এবং বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হচ্ছে। মাঠে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের তল্লাশি করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও দাওয়াতে ইসলামীর কয়েক শত নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী মাঠে থাকবেন।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য অজু, গোসল, প্রয়োজনীয় টয়লেট এবং খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পিডিবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া জিম্মাদার মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারি, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক কাদেরী, মাদানী চ্যানেল বাংলার জিম্মাদার আলহাজ্ব রিয়াজ আত্তারি, দারুল মদিনা ইসলামিক স্কুলের জিম্মাদার মোহাম্মদ বেলাল আত্তারি, খুদ্দামুল মাসাজিদ ওয়াল মাদারিস জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার কাওসার আত্তারি এবং ওলামা মাশায়েখ জিম্মাদার আলহাজ্ব আমিন আত্তারি।
মুফতি জহিরুল ইসলাম বলেন, সুফিবাদ এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদায় বিশ্বাসী এই সংগঠন ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে তিন দিনের ইজতেমা আয়োজন করে আসছে। ইজতিমায় কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কেয়াসের ভিত্তিতে ঈমান-আক্বিদা ও আমলের বিষয়ে দিন-রাত বয়ান হবে। মুসল্লিদের নামাজ, ফরজ, সুন্নাত ও নফল ইবাদতের নিয়ম-নীতি হাতে-কলমে শেখানো হবে।
ইজতেমা শেষে মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জাতি, ফিলিস্তিনসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা হবে। ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ আশেকে রাসুলের উপস্থিতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় জিম্মাদার মুহাম্মদ শওকত আত্তারি বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও এই ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ঢাকায় আন্তর্জাতিক ইজতিমার পাশাপাশি চট্টগ্রামে হচ্ছে বিভাগীয় ইজতিমা।
ইজতিমা শেষে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা ১২ দিন, ৩০ দিন, ৬৩ দিন, ৯২ দিন এবং ১২ মাসের মাদানী কাফেলায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মসজিদে সফর করে ইলমে দ্বীন প্রচার করবেন এবং মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান জানাবেন।