শিল্প-কারখানার জন্য চলমান লকডাউন শিথিল করার যে আহ্বান ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, তা নাকচ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার এক সভার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, “চলমান লকডাউন চলবেই। শিল্পপতিরা যে অনুরোধ করেছেন, তা গ্রহণ করতে পারছি না।”
মহামারী নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এই সভা বসেছিল, তাতে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আগামী ৭ অগাস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কোভিড টিকাদান শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরে এখনই সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পার করছে বাংলাদেশে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে।
আগের সব লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা থাকলেও এবার তাও বন্ধ রয়েছে। ভরা মৌসুমে রপ্তানির পণ্য যথাসময়ে পাঠাতে পারা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা লকডাউন শিথিলের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে শিমুলিয়ায় এসে ঢাকার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেন শত শত যাত্রী। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে শিমুলিয়ায় এসে ঢাকার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেন শত শত যাত্রী। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
এদিকে এবারেরটিকে সরকার ‘কঠোরতম’ লকডাউন বললেও সড়কে চলাচল প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।
লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এবিষয়ে বলা হয়েছে।”
ঢিলে হয়ে আসছে লকডাউন?
চলমান লকডাউন ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঘোষণা করা আছে। এরপর তা বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”
চলমান লকডাউনে সব অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। জনসমাগমও নিষিদ্ধ রয়েছে।
শিল্প খাতের মধ্যে কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রয়েছে।