চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যায় মাসুদ আলম ঢালী নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সায়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১৪ বছরের অধিক সময়ে চলমান অবস্থায় আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামি অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ আলম ঢালী ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামের মৃত বশির উল্যা ঢালীর ছেলে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খানের মেয়ে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, মাসুদ আলম ঢালীর সঙ্গে ১৯৯৮ সেলিনা বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে সন্তান হয়। এরমধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক নিয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ সেলিনার গলাচেপে হত্যার চেষ্টা করে ব্যাপক মারধর করে। মার সহ্য করতে না পেরে সেলিনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাসুদ আবার সেখান থেকে ধরে এনে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। এরপর স্বজনরা তাকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ২০০৮ সালের ৫ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় মাসুদ আলম ঢালীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৭ জুলাই গৃহীত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সময় ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুভাষ কান্তি দাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।