মাগুরা প্রতিনিধি:
চাঁদা না পেয়ে সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর এবং দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মাগুরা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কায়জার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত কায়জার ছাড়াও তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন টুকু এবং মোস্তাক নামে আরেকজনের বিরুদ্ধে শালিখা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর জেলা যুবদল নেতা কায়জার হোসেন এবং তার বাবা বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন টুকুর নেতৃত্বে বুনাগাতি বাজারের বেশকিছু ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সে সময় তারা বুনাগাতি বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা না পেয়ে ৯ আগস্ট দুপুরে তারা বাবা-ছেলেসহ আরও বেশ কয়েকজন সিদ্দিকুরের দোকানে হামলা চালায়। দোকানের ভেতর থেকে ব্যবসায়ী সিদ্দিকুরকে ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারধরের পর দোকান থেকে টাকা পয়সা লুট করে। এছাড়া ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাবা এবং ছেলের নেতৃত্বে একই বাজারের সত্য মাস্টার এবং টুটুলের কাপড়ের দোকান, সঞ্জয় কুন্ডুর সুপারির গোডাউন, প্রশান্ত বিশ্বাসের মিষ্টির দোকান, বুনাগাতি ইউপি সচিবের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে সময় তারা প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
এসব ঘটনার পরেও বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের কাছে দাবিকৃত টাকার জন্য ভয়ভীতি দেখান। যার কারণে শনিবার ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান শালিখা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলি মিয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় কায়জারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনার বিষয়ে মাগুরা জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেন বলেন, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সেখানে দল হস্তক্ষেপ করবে না। কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল বহন করতে পারে না।