সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের খাবার-পথ্য সরবরাহের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা না পেয়ে তাঁর দুই বাবুর্চিকে পিটিয়েছেন যুবদল নেতা মেহেদী হাসান চৌধুরী। পরে আহত অবস্থায় বাবুর্চি জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসলাম হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিয়ালকোল ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী পলাতক।
গতকাল বুধবার হাসপাতালের রন্ধনশালায় এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে রাতে রোগীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ রেখে রন্ধনশালার অন্য বাবুর্চি, কর্মচারী ও স্টাফরা বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি বিএনপি ও যুবদলের নেতা ও সেনাবাহিনীকে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, যুবদল নেতা মাহমুদুলের নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক হাসপাতালে ঢুকে প্রায়ই খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার ও তাঁর লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা না পেয়ে তারা হাসপাতালের রন্ধনশালায় ঢুকে বাবুর্চি আসলাম ও জাহাঙ্গীরকে মারধর করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জাহেদুল করিম রিপু বলেন, এক মাস ধরে তারা চাঁদা দাবি করে আসছে। এ নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জাকারিয়া হোসেনকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাঁকে মারতে এলে জাকারিয়া পালিয়ে যান। তখন তারা বাবুর্চিদের মারধর করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এখানে দলের কোনো বিষয় নয়।
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনও তাদের জানানো হয়নি।
সিরাজগঞ্জে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ-আল-আমীন জানান, হাসপাতালের পরিচালক তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। অপরাধীকে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।