চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রীঃ জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাব পেয়েছেন জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এটি রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিনিই সিদ্ধান্ত দেবেন।গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণভাবে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্প্রতি এ সুপারিশ করে তিনি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেন।বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এ বয়স ৩২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

সরকার অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করেছে জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছর হয়েছে। আমরা কিন্তু বাড়িয়েছি। প্রবেশের বয়স বাড়ালে আবার অবসরের বয়সের একটা ব‌্যাপার আছে।চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে নিয়োগের নীতিমালার পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটার ওপর আমাদের বিশেষ কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেই বলা যাবে, এটি করা যাবে কি যাবে না, বা আমরা এটা কখন করব।

সর্বশেষ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিরা আমলাদের সন্তানদের জন‌্য আলাদা বিশ্ববিদ‌্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলে তা সবার জন্য হবে। শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য আলাদাভাবে এ কনসেপ্টটা (আইডিয়া) আমরা নিতে পারছি না।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্বজনীন, ইউনিভার্সাল থেকে ইউনিভার্সিটি। এটা মুক্ত একটা জায়গা, যেখানে জ্ঞান অর্জন করবে, মানুষ মুক্ত চিন্তাভাবনা করবে। মনের বিকাশটা এখানে এসে ঘটবে, সক্ষম নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে। সব ধরনের মানুষ এখানে থাকতে হবে। স্পেশাল কারও জন্য একটা ইউনিভার্সিটি…। হ্যাঁ, আর্মিরা ইউনিভার্সিটি পরিচালনা করছে বা অন্যরা করছে। আপাতত আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, সে কাজগুলো আমরা করছি।