
গাজীপুর প্রতিনিধি:
চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাইদ হোসেন নামে এক যুবককে বাসায় নিয়ে আসেন আল আমীন নামে আরেক যুবক। রাতে ওই যুবককে নিজ কক্ষে ঘুমাতে বলেন আল আমীন।
সুযোগ বুঝে তাকে বলাৎকার করেন আল আমীন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন মাইদ। পরে পাশের একটি কক্ষে লাশ রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার পূর্ব চান্দনা এলাকায় ঘটে যাওয়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাইদ হোসেনকে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেয় অভিযুক্ত যুবক।
পিবিআইয়ের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বুধবার সন্ধ্যায় এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পিবিআই জানায়, শেরপুর সদরের পাকুরিয়া ফকিরপাড়া আশ্রাব আলীর ছেলে আল আমীন পাঁচ বছর ধরে গাজীপুরের চান্দনা পূর্বপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন এবং ফেরি করে পান-সিগারেট বিক্রি করতেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট খলিশাকুড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মাইদ হোসেনকে গত শনিবার নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন আল আমীন। মাইদ হোসেনও পূর্ব চান্দনা এলাকায় বসবাস করত।
পিবিআই জানায়, রাতের তারা একই কক্ষে ঘুমান। শেষ রাতে মাইদকে বলাৎকার করেন আল আমীন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আল আমীনকে হত্যার পর পাশের একটি কক্ষে লাশ রেখে পালিয়ে যান মাইদ। ঘর থেকে লাশের গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।
গত সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত আল আমীনের মা আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আল আমীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাইদকে মঙ্গলবার শ্রীপুরের শৈলাট গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআই এর গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।