চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, দাবি স্বজনদের

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) সংবাদদাতা

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফারজানা বেগম (৩৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারজানা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুমনের স্ত্রী।ফারজানার স্বামী জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় প্রসববেদনা নিয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তার স্ত্রী। দুপুর ১টার দিকে একটা মেয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ফারজানার।

মৃতের পরিবারের দাবি, নার্সদের হাতে ডেলিভারির পরই মারা যান ওই প্রসূতি। এ সময় হাসপাতালে কোনও ভালো চিকিৎসক ছিলেন না। চিকিৎসক থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত। তবে ফারজানার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের মধ্যে একেকজন একেক ধরণের বর্ণনা দিয়েছেন।

নিহতের বোন মাহমুদা বেগম জানান, চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলার কারণে আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ সাদিয়া ইসলাম বলেন, ফারজানার ডেলিভারির সময় আমি দায়িত্বরত ছিলাম। ফারজানার শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেক কম ছিল। তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে দেখেছি। রক্তশূন্যতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি ডাক্তার সোমা ইসলাম জানান, ফারজানার ডেলিভারির সময় চিকিৎসক না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ৪-৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়। এসব ডেলিভারি সবই মিডওয়াইফরা (স্পেশাল নার্স) করে থাকেন। তারা এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এ সময় চিকিৎসকের কোনও প্রয়োজন হয় না।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাসির উদ্দিন জানান, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি রোগীর অবস্থা ভালোই ছিল। আমরা স্বাভাবিকভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি। একপর্যায়ে তার ব্লিডিং শুরু হলে তাদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান ইবনে আমিন জানান, চিকিৎসকের অবহেলায় মা মারা যায়নি। তারপরও চিকিৎসকের যদি কোনো ভুল থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।