রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। শনিবার (২৪ জুলাই) বাদ যোহর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টা খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় ফকির আলমগীরের মরদেহ। বৃষ্টির জন্য দুপুর সোয়া ১২টায় নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য রাখা হয়।
শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফকির আলমগীর মারা যান। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন।
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।