চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম হ্যাকের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

চীনের রাষ্ট্র-সমর্থিত হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে প্রবেশ করেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের কর্মক্ষেত্র ও গোপন নয়, এমন কিছু নথিতে প্রবেশ করতে পেরেছেন হ্যাকাররা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে ‘গুরুতর সাইবার নিরাপত্তাজনিত ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘটনার প্রভাব খতিয়ে দেখতে তারা এফবিআই এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘কোনও ভিত্তি ছাড়াই কুৎসা রটানোর অংশ হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে।’

অর্থ মন্ত্রণালয় আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছে, চীন-ভিত্তিক হ্যাকাররা বাইরের পরিষেবা প্রদানকারীদের ব্যবহার করে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে। এই পরিষেবা ব্যবহার করে কর্মীরা অফিসের বাইরে থেকে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে ঢুকে কাজ করতে পারেন।

হ্যাকিংয়ের পর থেকে বিয়ন্ডট্রাস্ট নামের ওই বাইরের পরিষেবা প্রদানকারীরা অফলাইনে আছে বা তাদের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে হ্যাকারদের প্রবেশের আর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন কর্মকর্তারা।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিয়ন্ডট্রাস্ট ৮ ডিসেম্বর হ্যাকিংয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তাদেরকে সতর্ক করেছিল। কোম্পানিটির মতে, ২ ডিসেম্বর তারা প্রথম সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করে। তবে এর তিন দিন পর কোম্পানিটি বুঝতে পারে যে তাদের হ্যাক করা হয়েছে।

হ্যাকার গোষ্ঠী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মীর কর্মক্ষেত্র এবং তাদের কাছে রাখা গোপন নয়-এমন নির্দিষ্ট কিছু নথিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোন নথি হ্যাকারদের হাতে পড়েছে এবং কত সময় ধরে হ্যাকিং হয়েছে, তা জানায়নি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া নথিগুলোর প্রকৃতি কি ছিল বা কখন ও কতদিন ধরে হ্যাকিং চলেছে তাও জানা যায়নি। হ্যাকাররা এই তিন দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোয়েন্দাদের মত, হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, অর্থ চুরির উদ্দেশ্যে নয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘটনার বিষয়ে একটি পরিপূরক প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আইনপ্রণেতাদের কাছে সরবরাহ করা হবে।