চীন-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, ৯ দিনে নোঙর
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সেলিনা আক্তার:
এই প্রথম চীন থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এমভি কোটা আংগুন নামে জাহাজটি চীন থেকে পণ্য নিয়ে মাত্র নয় দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে বন্দরের ১৩ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। এটি বিশ্বের ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দরের শীর্ষস্থানে থাকা পোর্ট অব নিংবো-ঝুশান থেকে ৫৫২টি কনটেইনার নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজিব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চায়না-চিটাগাং এক্সপ্রেস (সিসিই) নামের এই সার্ভিসে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জাহাজের একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে। এই সার্ভিসের আওতায় চীনের পোর্ট অব নিংবো-ঝুশান থেকে প্রথমবারের মতো আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে মাত্র নয় দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে এমভি কোটা আংগুন নামের একটি ভ্যাসেল।
এদিকে,প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল লাইন (পিআইএল) কর্মকর্তা মো.মাহতাব বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটি চীন থেকে ৫৫২টি আমদানি করা কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। জাহাজটি ৭ সেপ্টেম্বর চীনের নিংবো থেকে যাত্রা করে সাংহাই ও শেকাউ হয়ে নয় দিনে চট্টগ্রামে পৌঁছে।
তিনি জানান, আগে চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতো। এখন চীন-চট্টগ্রাম সরাসরি রুট চালু হওয়ায় কম সময়ে জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। এতে চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক উন্নতি ঘটবে।
জানা যায়, বাংলাদেশে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানি খাতের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়। আবার বাংলাদেশের চামড়াসহ বেশ কিছু পণ্য চীনে রপ্তানি হয়। এসব পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিংবা কলম্বো হয়েই চীন-চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনায়ন করা হয়। এতে মাদার ভ্যাসেলে থেকে ফিডার ভ্যাসেল ব্যবহার ও অন্য বন্দরে হয়ে আসার কারণে এ ট্রান্সশিপমেন্টে সময় ও ব্যয় দুটিই বেশি হয়।
এ নিয়ে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘চীন থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পণ্য আমদানি করা হয়। তাই চীন-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি জাহাজ পরিচালনা করাটা বেশ সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। তবে নিয়মিত জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখা না গেলে এ রুটটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা যদি ভাবেন এবং রুটটি টিকিয়ে রাখেন তাহলে তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।