কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত তিনদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধীরগতিতে পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কোথাও কোথাও বাসা-বাড়ি এখনো হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে থাকায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না। বানভাসি মানুষরা ছুটে যাচ্ছেন নিকটতম আশ্রয় কেন্দ্রে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত তা বেড়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টি। অনেকে মানুষ বহুতল ভবন, স্বজন ও পরিচিত জনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যাদুর্গত লোকজন জানায়, বন্যার পানিতে দীর্ঘ সময় থাকায় এলার্জিসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গরু, ছাগল ও পশু খাদ্য নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন লোকজন
জানা গেছে, এখনো লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরকারি-বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর দেওয়া খাবার ও ত্রাণ পৌঁছালেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ অনাহারে দিন পার করছেন। বেশি কষ্টে আছেন বয়োবৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১৪টি মেডিকেল টিমের সমন্বয়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে চৌদ্দগ্রামে শুকনো খাবার ও চাল, ডাল, মোমবাতিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলছে। জিনিসপত্রের সংকট ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।