চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অবসরের ব্যাখ্যায় যা বললেন তামিম

প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক :

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তামিম ইকবাল থাকবেন কি না এমন দোলাচলের মাঝেই বিপিএলের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। যার ফলশ্রুতিতে গতকাল (শুক্রবার) বিপিএলের ফাইনাল শেষে বিসিবি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিয়েছে। এ সময় দেশের ক্রিকেটের এই অভিভাবক সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি অবসরের কারণও জানিয়েছেন তামিম।

বিপিএলের ফাইনালে জিতে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে দলটির অধিনায়ক তামিম বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে হবে। বিসিবির সঙ্গে সবসময় প্লেয়ারদের লাভ এন্ড হেইট সম্পর্ক থাকে। তবে ১৭ বছর ধরে তারা আমার দেখাশোনা করেছে। আগের সব সভাপতিকেও ধন্যবাদ। তারা আমাকে গার্জিয়ানের মতোই ১৭ বছর খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিকে হতে পারত বা না পারত, মাঠে হয়েছে তাতেই আমি খুশি। দারুণ বিদায়।’

সবসময়ই ফর্মে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছেন উল্লেখ করে তামিম বলেছেন, ‘আমার শতভাগ বিশ্বাস ছিল। আমি মনে করেছি আমার ভেতর অনেক খেলা আছে আন্তর্জাতিকেও। যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, ‘‘আল্লাহ আমি এমন সময়ে ক্রিকেটটা ছাড়ি যেন মানুষ আমাকে এসে বলে যে, তুই আরও এক-দেড় বছর খেলতে পারতি।’’ এটাই আমি সবসময় চেয়েছি।’

২০২৩ বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং পজিশন বদলানোর প্রস্তাব মানতে না পেরে নিজেকে স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। এরপর লম্বা গ্যাপ হওয়ায় মূলত আগেভাগে অবসরের সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (খেলা প্রসঙ্গে) বড় সিদ্ধান্ত ছিল, বিশেষ করে আমার ছেলের জন্য। তার ক্রিকেট নিয়ে অনেক আগ্রহ। সে চেয়েছে আমি খেলি। গ্যাপটা যদি না হইত আমার জন্য ২৩ বিশ্বকাপ বিশেষ করে। গ্যাপটা না হলে হয়তো এক-দেড় বছর খেলতে পারতাম। যে ধরনের ক্যারিয়ার ছিল, আমার ভাবনা ছিল পারফরম্যান্সটা কীভাবে (আরও) উপরে নিয়ে আসতে পারি। কামব্যাক করলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। তবে সবকিছু চিন্তা করে, আমি চেয়েছি এক-দেড় বছর আগে অবসর নিতে।’

বিদায়ী সংবর্ধনার শুরুতে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় তামিম ইকবালকে নিয়ে তৈরি করা বিসিবির বিশেষ ভিডিও। যেখানে দেশসেরা এই ওপেনারকে নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ জাকির হোসেন, তানজিম হোসেন সাকিব ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির মতো তরুণ তারকা এবং একসময়ের সতীর্থ ও বর্তমানে কোচ বনে যাওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল। বিসিবির এমন আয়োজনে দারুণ খুশি তামিম, ‘বিসিবি যা করেছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। এটা উনারা যদি নাও করতেন তাও পারতেন (সুযোগ ছিল)। তারা আমাকে সেই সম্মানটা দিয়েছে। আজকে যা করেছে সবকিছু নিয়ে অনেক খুশি কোনো অভিযোগ নাই।’

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। তিন সংস্করণ মিলে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান এখনও তার দখলে। ২৪৩ ম্যাচে করেছেন ৮৩৫৭ রান।